আমদানি করা পণ্যের কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন।
রিটে আমদানি করা পণ্যে ভোক্তা অধিকার রক্ষা, রাজস্ব ক্ষতি প্রতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ সুরক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন যাচাইকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং কিউআর কোড সংযুক্তকরণ বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানিয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
এই রিট আবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাজারে প্রচুর ভুয়া ও অননুমোদিত আমদানি করা পণ্য বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি এবং এতে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আমদানি করা প্রতিটি পণ্যে কিউআর কোডের মাধ্যমে যাচাইকরণ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অনুমোদিত আমদানিকারকদের একটি জাতীয় ডাটাবেজ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিটটি করা হয়।
রিট দায়ের করা ১০ জন আইনজীবী হলেন- মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া, মো. রোকনুজ্জামান, রাগিব কবির, আবু শাহেদ, রেহেমিন চৌধুরী, আরফান সুলতানা, মো. সাইফুল ইসলাম, হাসান ইসহাক ভূঁইয়া, মো. আরিফ চৌধুরী এবং উম্মে আইমান জেনিব।
এ বিষয়ে আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমদানি করা পণ্যের সঠিক যাচাইকরণ না থাকায় বাজারে ভুয়া ও ক্ষতিকর পণ্য ঢুকে পড়ছে, যা সরাসরি শিশুদের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। একটি কেন্দ্রীয় যাচাইকরণ ব্যবস্থা ও কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করলে এই অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের (সিসিআইই) প্রধান নিয়ন্ত্রক, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইই), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বিএসটিআইসহ মহাপরিচালকসহ ৬ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
Leave a Reply